লাইফস্টাইল ডেস্ক: নারিকেল পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে যা এটিকে আপনার সকালের রুটিনে একটি চমৎকার সংযোজন করে তোলে। কেন খালি পেটে নারিকেল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আরও পড়ুন: সময় নষ্ট বন্ধ করার উপায়
১) প্রাকৃতিক শক্তি বুস্টার: নারিকেল মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (MCTs) সমৃদ্ধ। এটি এক ধরনের চর্বি যা দ্রুত শোষিত হয় এবং শরীর দ্বারা শক্তির দ্রুত উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লং-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডের বিপরীতে এটি হজম প্রক্রিয়াকে বাইপাস করে, যা আমাদের শরীরের জন্য একটি আদর্শ শক্তির উৎস।
২) হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: নারিকেল দিয়ে দিন শুরু করলে তা হজমে সাহায্য করতে পারে। নারিকেলে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের গতিবিধিকে উৎসাহিত করে এবং উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাঁচা নারিকেলে লরিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি একটি যৌগ যা এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। লরিক অ্যাসিড শরীরে মনোলোরিনে রূপান্তরিত হয়। এটি এমন একটি পদার্থ যা ক্ষতিকারক প্যাথোজেন, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এটি দুর্দান্ত ইমিউন সিস্টেম বুস্টার, বিশেষ করে যখন খালি পেটে খাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্রেইন ভালো রাখবে যে খাবার
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে: ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত উপাদানের কারণে নারিকেল খেলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। নারিকেলের এমসিটি পেটে পূর্ণতার অনুভূতি বাড়াতে পারে, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে। এটি খাদ্যে প্রচুর ফাইবার যোগ করে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে।
৫) স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুল: নারিকেল একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী খাবার। এর স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের সমৃদ্ধ সরবরাহ উজ্জ্বল ত্বক এবং শক্তিশালী চুলকে উন্নীত করতে সাহায্য করে। নারিকেলের চর্বি ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতার মাত্রা বজায় রাখার জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
৬) রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য রাখে: সকালে নারিকেল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, এর কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং ফাইবার সামগ্রী এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ফাইবার কার্বোহাইড্রেটের হজমকে ধীর করে দেয়, যা রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি এবং ক্র্যাশ প্রতিরোধ করতে পারে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা।
সান নিউজ/এএন