ছবি : সংগৃহিত
বাণিজ্য

ডিমের হাফ সেঞ্চুরি, ব্রয়লারের কেজি ২০০

সান নিউজ ডেস্ক : জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পাশাপাশি বাচ্চা ও ফিডের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের বাজারও টালমাটাল। সপ্তাহের ব্যবধানে সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় ফের অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার।

আরও পড়ুন : দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানি দায়ী

খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত আর ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, ডজন দেড়শ টাকা।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি বাজারভেদে বিক্রি হতে দেখা গেছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশি মুরগির দাম হাঁকা হচ্ছে ৫০০-৫৬০ টাকা প্রতি কেজি।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

আরও পড়ুন : সিভিসি ফাইন্যান্সের নতুন এমডি

ব্যবসায়ী ও খামারিরা অল্প সময়ের ব্যবধানে এমন মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বাচ্চা ও ফিডের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।

অন্যদিকে প্রান্তিক খামারিদের একটি সংগঠন এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

নিত্যপণ্যের বাজারের এমন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেও যারা ব্রয়লার মুরগি ও ডিম কিনেছিলেন, সোমবার বাজারে এসে তারা চমকে গেছেন। হঠাৎ করে এমন মূল্যবৃদ্ধি বাজারে তৈরি করেছে অস্থিরতা। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার বাগবিতণ্ডা চলছে দোকানে দোকানে।

আরও পড়ুন : সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সেগুনবাগিচা বাজারে একজন ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকায় কিনেছি। এখন বলছে ২১০ টাকা। ডিমের দাম চাচ্ছে ৫০ টাকা হালি, যা ৪০ টাকায় কিনেছি। এটা কীভাবে সম্ভব? এমন হলে গরিব মানুষ সংসার চালাবে কীভাবে?

ডিম বিক্রেতা ইয়াকুব আলী বলেন, হুট করে ডিম-মুরগির দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন আড়তে দাম বাড়ছে। আজ এক রকম তো কাল আরেক রকম। প্রতিদিন ডজনে ৫ টাকা বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। মুরগি বাড়ছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা করে। জানি না এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে।

অপরদিকে পাড়া-মহল্লার মুদিদোকান থেকে ডিম কিনলে দিতে হচ্ছে এর চেয়েও বেশি টাকা। কোথাও কোথাও ডিম ৫২ টাকা হালিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ডিম একটু কমে, প্রতি হালি ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

আরও পড়ুন : শিল্পের বিকাশে মহাপরিকল্পনা হবে

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসএম এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা কাশেম সিকদার জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ায় অন্য সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। তবে বাজারে মুরগির কোনো সংকট নেই বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, কাঁচামালের দাম মাঝেমধ্যে হেরফের হয়। শীতের সময় ব্রয়লারের চাহিদা বাড়ে, সরবরাহ কিছুটা কমে যায়। তবে সেটা স্বাভাবিক অন্য সময়ের মতোই। তবে হুট করে কেন এমন হলো, সেটা জানা নেই।

খামারিদের সংগঠন পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ বিষয়ে বলেন, খামারেই ডিম-মুরগির দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এ দাম বৃদ্ধির কারণ বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বাচ্চার দাম বেড়েছে। গত ৫ জানুয়ারি প্রতি পিস মুরগির বাচ্চা ৯-১০ টাকা ছিল। এখন সেটা ৫৬ টাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন : আইএমএফ‘র ঋণ পেল বাংলাদেশ

তিনি বলেন, যখন রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে খামারিরা বাচ্চা নিচ্ছে, তখন এই অবস্থা। গত বছর ফিডের দামও দ্বিগুণ করেছে এই কোম্পানিগুলো। সেজন্য এখন বাজারে ডিম ও মুরগির দাম অস্বাভাবিক বাড়ছে।

এ খামারির দাবি, পোল্ট্রি খাতে বাচ্চা ও খাবার (ফিড), মেডিসিনসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছু উৎপাদন করছে করপোরেট কোম্পানিগুলো। আবার তারা ডিম এবং মুরগিও উৎপাদন করছে।

পাশাপাশি খামারিদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েও (চুক্তিভিত্তিক) জড়িত অধিকাংশ কোম্পানি। সে কারণে তাদের সঙ্গে টিকতে পারছে না দেশের সাধারণ খামারিরা। এখন কোম্পানিগুলো বাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। এখন সাধারণ খামারিদের কাছে মুরগি নেই। এ মুনাফা যাচ্ছে করপোরেট কোম্পানির ঘরে বলেও দাবি করেন সুমন হাওলাদার।

আরও পড়ুন : রোজার পণ্যে পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে করপোরেট কোম্পানিগুলোর মুরগির মাংস ও ডিম উৎপাদন এবং কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বন্ধের দাবি জানান তারা।

বিপিএ’র সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘ সময় দেশের প্রান্তিক খামারিরা মুরগি ও ডিমের দাম না পেয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছে। এক লাখ ৬০ হাজার খামার, এখন বন্ধ হয়ে এখন ৬০ হাজারে ঠেকেছে। তারপরও সব খামারে মুরগি নেই। ফলে প্রান্তিক খামারিদের কাছে এখন মুরগি ও ডিমের নিয়ন্ত্রণ নেই।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি

সংগঠনটি বলছে, প্রান্তিক খামারিদের একটি ডিম উৎপাদন খরচ ১১.১১ পয়সা, ১ কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন খরচ ১৪৮ টাকা, ১ কেজি সোনালি মুরগিতে খরচ ২৬২ টাকা। এখন যে দাম তাতে প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে বলেও জানানো হয়।

সান নিউজ/জেএইচ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কমলো হজের খরচ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৭ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে হ...

একই স্কুলে ১০ জোড়া জমজ!

বদরুল ইসলাম বিপ্লব (ঠাকুরগাঁও) : ভাই-বোনের সম্পর্কগুলো সবসময়...

অনিয়ম হলে জাতীয় নির্বাচন বাতিল

সান নিউজ ডেস্ক : অনিয়ম হলে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের মতো জাতী...

ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের উলিপু...

ঈদে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে

সান নিউজ ডেস্ক : ঈদুল ফিতরে ঘরমুখ...

রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বিজেপি নেতার দায়েরকৃত এক মানহ...

সিআইডি কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ

সান নিউজ ডেস্ক : ‘১ কোটি ২৮ লাখ তো নিছেন আপনারা সবাই।...

২ শিক্ষার্থীর মা ‘অপদস্ত’, উত্তাল বগুড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারি এক উচ...

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ

সান নিউজ ডেস্ক : আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে শাকিবের মামলা

সান নিউজ ডেস্ক : চিত্রনায়ক শাকিব খান রহমত উল্লাহ নামে এক প্র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা